আড়াই বছরের এক কন্যা সন্তানকে রেখে তিনবারের বিবাহিত এক বখাটে ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ী যুবকের সাথে পালিয়ে গেল এক গৃহবধূ। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানার অন্তর্গত মধ্যে বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। জানা যায় গত ১৮ই মে রোজ বৃহস্পতিবার মধ্য বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকার আচমত আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী তানজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় তার আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে রেখে বক্সনগর বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু বাজারে যাওয়ার পর রাত গনিয়ে আসলেও সেই গৃহবধূ আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তখন তার শাশুড়ি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে দেখে তার পুত্রবধূ কারুর বাড়িতে যায়নি। অনেক খোঁজখবর নেওয়ার পর জানতে পারে যে ওই গৃহবধূ আশাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে সবুজ মিয়ার সাথে আড়াই বছরের কন্যা সন্তানের মা তানজিনা আক্তার পালিয়ে গিয়েছে। কারণ সবুজ মিয়াও বাড়িতে নেই।এই দুশ্চরিত্র গৃহবধূ বাড়ি থেকে যাবার সময় তার স্বামী সাদ্দাম হোসেনের ঘরের শোকেজ থেকে মোট আট ভোরি স্বর্ণ এবং নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়। জানা যায় এই আট ভোড়ি স্বর্ণের মধ্যে নেকলেস ছিল তিন বুড়ি, হাতের বালা ছিল দুইটি দুই ভোড়ি, চেন ছিল দুইটি দুই ভোরি, এবং কানের জিনিস ও আংটি ছিল এক ভোরি এই মোট আট ভোরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় গৃহবধূ। জানা যায় সাদ্দাম হোসেন গত ছয় মাস আগে বাড়ি থেকে সৌদি আরবে কাজ করতে যান। আর এই সুযোগে তার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলেদের সাথে মোবাইলে কথাবার্তা শুরু করেন। জানা যায় গত কিছুদিন পূর্বে সবুজ মিয়া বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অপরদিকে ভাটি কলমচৌড়া এলাকার আব্দুর রহমান এর মেয়ে তানজিনা আক্তারও বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন তাদের মধ্যেই একটু কথাবার্তা তারপর ফোন নাম্বার আদান-প্রদান করা হয়। শুরু হয়ে যায় তাদের মধ্যে ফোন আলাপ। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জানা যায় তখন গৃহবধুর কাছে একটি বাটন ওয়ালা মোবাইল ছিল। এই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে চাপ দিতে থাকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য। সাদ্দাম হোসেন তখন মোবাইল ফোন কিনে দিতে অস্বীকার করেন। তখন গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে আসেন। নিয়ে আসার পর সবুজ মিয়ার সাথে শুরু হয় ইমুতে ভিডিও কলে কথাবার্তা। এদিকে সবুজ মিয়া এর আগেও দুটি বিয়ে করেছেন। জানা যায় সবুজ মিয়া বিভিন্ন অবৈধ মাদক দ্রব্যের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। গত এক বছর পূর্বে রোহিঙ্গা পাচারেও তাকে আটক করে পুলিশ। এমন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে সবুজ মিয়া। জানা যায় তাকে সায় দিচ্ছে শাসক দলের এক চুনোপটি নেতা।একের পর এক বিয়ে করে অন্যের সংসারে আগুন লাগাচ্ছে এই সবুজ মিয়া। এখন স্বর্ণালংকার নিয়ে সবুজ মিঁয়া তার নতুন প্রেমিক দেশ ছাড়া। রীতিমতো তারা tiktok এর মত ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন।
আট বুড়ি স্বর্ণালংকার এবং কুড়ি হাজার টাকা পেতে কলমচৌড়া থানায় গৃহবধূর নামে মামলা করেন তার শাশুড়ি. এদিকে তানজিনা বেগমের আড়াই বছরের সন্তান ইবা আক্তার মা মা বলে বাড়ির চারিদিকে কান্না করছে। স্বামী ও বিদেশে স্ত্রীর এই ঘটনায় অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েন. কেমন করে আড়াই বছরের সন্তানকে ফেলে রেখে পর পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যেতে পারে পাষন্ড মা. মায়ের মত এই নিষ্পাপ শব্দটাকে কলঙ্কিত করেছে এই মা। এদিকে স্বামী সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়, তার স্ত্রী তানজিনা বেগমকে নিয়ে সে আর কোনদিন সংসার বাধবেন না। সে এবং তার পরিবার দাবি করছেন তার আট ভোরি স্বর্ণ এবং কুড়ি হাজার টাকা যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখন দেখার বিষয় কলমচৌড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ বাবুরা এই গৃহবধূ এমনকি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারে কিনা, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে তার পরিবারসহ গোটা এলাকাবাসী।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post এস এস বি ক্যাম্পের কালিমন্দিরে চোরের দলের হানা।
Next post রাজ্যের স্কোরারদের গ্রেডেশন নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
%d bloggers like this: