আজাদী কা অমৃত মহোৎসব ভারতের সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে প্রগতিশীল সবকিছুর মূর্ত প্রতীক। আজাদী কা অমৃত মহোৎসব এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২০২১ সালের ১২ মার্চ থেকে শুরু হয় যা আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকীর ৭৫ সপ্তাহের কাউন্টডাউন শুরু করে এবং ১৫ই আগস্ট, ২০২৩ এ এক বছরের পরে শেষ হবে। দেশে স্বাধীনতা অর্জনের গৌরবময় ইতিহাসকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাই সরকারের লক্ষ্য। দেশের বীর সন্তানদের কথা স্মরণ করতেই জেলা ভিত্তিক এবং মহকুমা ভিত্তিক বিভিন্ন ক্রীড়া বিষয়ক আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশায় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত রাজ্যের সমস্ত জানা ও অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার সকালে কৈলাসহরের সমরুরপাড় বি.এস.এফ ক্যাম্পের সামনে থেকেই শুরু হয় তিনটি পূর্ব নির্ধারিত গ্রামের ২৫ জন করে মোট ৭৫ জনকে নিয়ে এক ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার। উক্ত এই প্রতিযোগিতা সমরুরপাড় থেকে শ্রীরামপুরের ট্রাইজংশনে এসে শেষ হয়। উল্লেখ্য যে, ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বিরো কে নাম এই কর্মসূচি রাজ্যের ৭৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করে বিভিন্ন কর্মসূচির অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। কৈলাসহর মহকুমায় শ্রীরামপুর সূর্যমনি হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুল ভদ্রপল্লী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং রাংগাউটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপী নাচ গান নাটক ইত্যাদি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একইভাবে শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, সমরুরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং রাংগাউটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার যুবকদের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া কার্যকলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৭৫ সীমান্ত গ্রাম কর্মসূচিকে সামনে রেখে উক্ত তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ২৫ জন করে ৭৫ জন যুবক বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনে অংশ নিয়েছে। শান্তির পায়রা মুক্ত আকাশের দিকে উড়িয়ে দিয়ে ম্যারাথন দৌড়ের শুভারম্ভ করেন কৈলাসহর পুর পরিসদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায় এবং চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন সন্দীপ কর্মী, যুব ও ক্রিয়া দপ্তরের ঊনকোটি জেলার অধিকর্তা অর্জুন দেবনাথ। এছাড়াও ক্রীড়া দপ্তর এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিক সহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ম্যারাথন দৌড় শুরুর পূর্বে কৈলাসহর পুর পরিসদের চেয়ারপার্সন চপলা রানী দেবরায় এবং যুব ও ক্রিয়া দপ্তরের ঊনকোটি জেলার অধিকর্তা অর্জুন দেবনাথ