ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের টীকাকরণ সুনিশ্চিত করতে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাজ্য ভিত্তিক ইন্টেনসিফায়েড মিশন ইন্দ্রধনুষ ৫.০ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী টিংকু রায়, মন্ত্রী সুধাংশু দাস, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন ডিরেক্টর শুভাশিস দাস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব দেবাশীষ বসু সহ সাস্থ্য দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাস্থ্য মিশনের রাজ্য মিশন ডিরেক্টর সুভাশিষ দাস। অনুষ্ঠানে এত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন ছয় দিন ছয় দিন করে তিন মাস ধরে মোট ১৮ দিন এই কর্মসূচি চলবে। মানুষকে বাঁচাতে এই ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই। ২০১৪ সালে ভ্যাকসিনের গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য টার্গেট ঠিক করা হয়। মিশন ইন্দ্রধনুষ নেওয়া হয়। ত্রিপুরা ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম সারির রাজ্যের মধ্যে ইমুনাইজেশনের দিকে। আমরা লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গেছি। অল্প বাকি। এই বাকি কাজটা করা সবচাইতে কঠিন। মিশন ইন্দ্রধনুষের উপর তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান রাজধানীর বাইরে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এই ধরনের অনুষ্ঠান কৈলাসহরে করায় স্বাস্থ্য কর্মীরা উৎসাহিত হবেন। তিনি জেলা হাসপাতাল গুলোর পরিকাঠামো আরো শক্তিশালী করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যাতে জিবি হাসপাতালের লোড কমানো যায়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এক শিশুকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর এক শিশু ও এক গর্ভবতী মহিলাকে টিকা প্রদান করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের উপর দেখা যায় অনেক রোগীকে আগরতলার রেফার করা হলে রাস্তার মধ্যে অনেক রোগী মারা যান। রাস্তার জন্য আগরতলায় যেতে অনেক সময় লাগতো। ইতিমধ্যে যদি দেখি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যেক মহকুমা ও জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশন চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কৈলাসহরে যুব আবাস তৈরি করার জন্য ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কৈলাসহর কোট, এসডিএম অফিস, রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বাজেটে রেখেছেন। এরপর অনুষ্ঠানে দুই শিশু এবং এক গর্ভবতী মহিলাকে u win সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধাভোগী দুইজন মঞ্চে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আজকের শিশু কালকের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। রাজ্য ৯৮ শতাংশ টীকাকরণের দিকে রাজ্য যাচ্ছে। স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে হিউম্যান রিসোর্স ঠিক থাকবেনা। দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা উপরে রয়েছি। অতি ঘরে সুশাসনে আমরা অনেকটাই সফলতা পেয়েছি। কোন কাজের ফিনিশিং টাচে আমাদের কিছুটা ঢিলেমি শুরু হয়ে যায়। ফিনিশিং টাচে যেন ঢিলেমি থাকে না। সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সব সময় সবাইকে সাহায্য করা ও সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয় না। আমরা এ বছর মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বরাদ্দ করেছি। রাজ্যের আটটি জেলায় ড্রাগ রিহেবিলিটেশন সেন্টার খোলা হবে। কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে একটি সেন্টার খোলা হবে। আরজিএম হাসপাতালে শিশু, প্রসূতি ও এনেস্থেসিয়া বিভাগ অতিসত্বর চালু করা হবে।