চাকরি কেলেঙ্কারির অভিযোগে রংমালা পশ্চিম দুরন্ত পাড়া অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিলো অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারের এলাকাবাসী, ঘটনা বিবরণ জানা যায় বুধবার সকালে চড়িলাম ব্লকের অন্তর্গত রংমালা পশ্চিম দুরন্ত পাড়া অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে শর্মিলা দেববর্মা দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত হেলপার হিসেবে কাজ করছিলেন উনার মা মঞ্জুরানি দেববর্মা মৃত্যুর পর। জানাযায় মৃত মঞ্জুরানী দেববর্মা দুরন্ত পাড়া অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারের জন্য নিজের জমি দিয়েছিলেন এবং যার পরিবর্তে মঞ্জুরানী দেববর্মাকে সেই অঙ্গনওয়াডী সেন্টারে হেলপার হিসেবে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। গত পাঁচ বছর পূর্বে মঞ্জুরানী দেববর্মার মৃত্যুর পর উনার মেয়ে শর্মিলা দেববর্মা হেল্পার হিসেবে সেই অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে চাকরি করে আসছিলেন ।হঠাৎ বুধবার থেকে শর্মিলা দেববর্মার অজান্তেই সে সেন্টারে কিরণমালা দেববর্মা নামে নতুন একজন হেলপার নিয়োগ করেছেন এস এম সি কমিটির স্থানীয় নেতৃত্বরা। শর্মিলা দেববর্মা এলাকাবাসী অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারে চাকরির কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিলো। পাশাপাশি যতক্ষণ না পর্যন্ত তার সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলানো থাকবে বলে জানান শর্মিলা দেববর্মা। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ এবং বর্তমানে শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা যেন জারি থাকে সে ব্যবস্থা করার বার্তা দেন পুলিশ পাশাপাশি উক্ত বিষয় নিয়ে জেলা সমাজ শিক্ষা আধিকারিক উত্তম কুমার দাস এর সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান বিশ্রামগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে অঙ্গনারী সেন্টারের তালা দেওয়া নিয়ে গোটা গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে যায়। কারণ হেল্পার হিসাবে প্রথম দাবিদার শর্মিলা দেববর্মা। কি করে রংমালা ভিলেজ এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয় যা ভেবে পাচ্ছে না শর্মিলা সহ গ্রামের মানুষ। পাঁচ বছর ধরে শর্মিলা এই অঙ্গনারী সেন্টারে হেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন। সবকিছু জেনে শুনে বুঝে কেন কিরণমালা দেববর্মা কে হেল্পার পদে নিয়োগ করা হলো সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না এলাকাবাসীসহ সর্মিলা দেববর্মা। শর্মিলা সহ গ্রামের মানুষের দাবী শর্মিলাকে হেল্পার পদে নিয়োগ করতে হবে।