বিহার-গুজরাটের মতো ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য়েই মদ বিক্রি এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ। এবার গোটা দেশ জুড়ে একটি জাতীয় অ্যালকোহল প্রতিরোধ নীতি তৈরির দাবি উঠল। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিল। সোমবার সেই মামলার শুনানি খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে হাত দেওয়া হবে না। ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ বলেছে, “এর একটি রাজস্বের দিক রয়েছে। যদি এই বিষয়ে কিছু করা হয় তবে সেই রাজস্ব বন্ধ হয়ে যাবে। এই রাজস্ব বিভিন্ন সামাজিক কারণে ব্যবহার করা হয়। এই আবেদনে সরকারকে একটি নীতি তৈরির নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমাদের এক্তিয়ারে নেই।”শুনানির সময়, আবেদনকারীর আইনজীবী দাবি করেন, কয়েকটি রাজ্যে মদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যগুলি মদ বিক্রিতে উত্সাহ দিচ্ছে। অ্যালকোহলের গুরুতর প্রভাব সম্পর্কে সরকারী প্রতিবেদন পেশ করে তিনি জানান, দেশের একটি ছোট জনসংখ্যা গুরুতরভাবে মদ্যপানে আসক্ত। এই সমস্যাটি ভারতের সংবিধানের সমকালীন তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র এই বিষয়ে কোনও নীতি তৈরি করেনি। কেন্দ্র এই সমস্যা থেকে সম্পূর্ণরূপে হাত ধুয়ে ফেলেছে। যারা মদের নেশায় আসক্ত তাদের হিংসাত্মক প্রবণতা থাকে। সমাজের উপর ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে শিশুদের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রসঙ্গত, সংবিধানের সমকালীন তালিকা বা তালিকা-৩ হল ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে দেওয়া ৫২টি বিষয়ের একটি তালিকা। এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারেরও বিবেচনা করার ক্ষমতা থাকে।