নিজের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গোপনে পরস্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী খোয়াই মহিলা থানায় মামলা করল পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে।
খোয়াই চেবরী পেকনী ছড়া এলাকার বাসিন্দা হরে কৃষ্ণ দেবনাথ একজন পুলিশ কনস্টেবল। ২০০৯ সালে সামাজিকভাবে সে বিয়ে করেছিল খোয়াই সোনাতলা নিবাসী রুপা দেবনাথের সঙ্গে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে কুড়ি হাজার টাকা নগদ একটি বাইক এবং স্বর্ণালংকার সবই নেয় সে। বর্তমানে তাদের একটি তেরো বছরের কন্যা এবং চার মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী রুপা দেবনাথ অভিযোগ করেন তার স্বামী হরে কৃষ্ণ দেবনাথ গোপনে খোয়াই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্যালয়ের এক মহিলা কর্মচারী পিংকি রানী দেব (দাস)কে বিয়ে করেন গোপনে। ওই মহিলার প্রয়াত স্বামী অশ্বিনী দাস পুলিশ কস্টেবল পদেই কর্মরত ছিল। উনার ও সন্তান রয়েছে। এই মহিলার বাড়ি পহরমুড়া দেব পাড়ায়। অসহায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী রুপা দেবনাথ জানান, তাদের বিয়ের বেশ কিছু বছর ভালোই ছিল। স্বামী হরে কৃষ্ণ দেবনাথ কর্মসূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিল। বর্তমানে সে কমলপুরের কচু ছড়ায় নিযুক্ত রয়েছে। স্বামীর এই ধরনের কুকীর্তি ধরে ফেলার পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে। খোয়াই মহিলা থানায় তিনি তার স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এখন দেখার বিষয় পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খোয়াই মহিলা থানার পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে কি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।