প্রত্যেক বছর ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ঘটা করে পালিত হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। কখনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কখনো রাজ্যপাল কখনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের হাত ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।আর বৃক্ষরোপন দিবসে যত বৃক্ষরোপন করা হয় পরিবেশকে রক্ষা করতে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে মানব জীবনে সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক রাখতে আর সেই সমস্ত বৃক্ষগুলো কোন রকম কারণ ছাড়াই প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে ফেলচ্ছে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তর। বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কান্ডে বিশালগড় থেকে গোলাঘাটি যাওয়ার মূল সড়কের দু পাশের প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে উজাড় করে দিয়েছে বিদ্যুৎ কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। উক্ত ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের হুমকির মুখে পড়েন।যেখানে রাজ্য সরকার,রাজ্যের নেতা মন্ত্রী এমনকি বিদ্যুৎ মন্ত্রীও বিভিন্ন সময় বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে গলা ফাটাতে দেখা যায় কিন্তু বাস্তব তার সম্পূর্ণ উল্টো। বিশালগড় থেকে গোলাঘাটি যাওয়ার রাস্তার দুই পাশে লাগানো হয়েছিল প্রচুর সংখ্যক বিভিন্ন প্রকারের ফলের গাছ,যে গুলি স্থানীয়দের লালন পালনে বেড়ে ওঠে।গাছের নিচে,কৃষক,পথ চলতি মানুষ বিশ্রাম নিতেন। রাস্তার দুই পাশে প্রচুর জমি থাকা সত্ত্বেও সেই গাছগুলোর উপর দিয়েই বিদ্যুতের লাইন টানা হয় এবং সেই গাছগুলি এখন নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে অর্থাৎ কেটে ফেলা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগে রতনের বিদ্যুৎ দপ্তর।এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেন। স্থানীয়দের দাবি নিরবে এই কাজগুলি ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে। যদি এইভাবে বৃক্ষ ধ্বংস করা হয় তাহলে ঘটা করে প্রতিনিয়ত রাজ্যে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করার কি মানে এমনটাই যেন প্রশ্ন স্থানীয়দের। এলাকার গৃহস্থ্য থেকে শুরু করে কৃষক পথ চলতি লোকেরা করজোড়ে কর্মীদের কাছে এ গাছগুলো ধ্বংস না করেন দুচোখে জলভরা আর্তনাদ করতে থাকেন।