ভারতে বিবাহিত জীবনের জটিলতা এবং সম্পর্কের অবনতি নিয়ে আদালতে মামলা দিন দিন বাড়ছে। এমনই একটি মামলা সম্প্রতি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে দায়ের হয়, যেখানে এক পুরুষের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে আবেগপ্রবণ অভিযোগ তোলা হয়। এই মামলায় আদালত পর্যালোচনা করেছে যে, স্ত্রীর আচরণ কিভাবে তার স্বামীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কারণ হয়ে উঠেছিল।বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে ‘হিজড়া’ বা ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বলে অভিহিত করে, তবে সেটি কেবল ওই ব্যক্তি নয়, বরং তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের জন্যও মানসিক অত্যাচারের সমান। এই মামলায় স্ত্রীর পক্ষ থেকে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছিল, যেখানে স্ত্রীর দাবি ছিল যে, স্বামীর সঙ্গে রাতে কমপক্ষে তিনবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত এবং প্রতিটি সম্পর্কের সময়সীমা ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে হতে হবে।
অভিযুক্ত স্বামী জানান যে, তার স্ত্রী নিয়মিত তাকে যৌনতার সময়কাল রেকর্ড করতে এবং অনেক চাপের মধ্যে রাখতে চাইত। এমনকি তিনি দাবি করতেন যে, প্রতিদিন অন্তত তিনবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত স্ত্রীর আচরণকে মানসিক অত্যাচার হিসেবে চিহ্নিত করে এবং আদালতের সিদ্ধান্তে ওই সম্পর্কের অবসান ঘটানোর নির্দেশ দেয়।