রহস্যজনক ভাবে এক গৃহবধুর মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর জেলার পশ্চিমচন্দ্রপুর ১ নং ওয়ার্ড এলাকায়।মৃত গৃহবধুর নাম সঞ্চিতা বেগম। বয়স ২৩ বছর। মৃতার বাবার বাড়ির লোকজনদের অভিযোগে পুলিশ মৃতার স্বামী আস্কর আলীকে আটক করে ধর্মনগর মহিলা থানায় নিয়ে যায় মহিলা থানার পুলিশ।ঘটনা ধর্মনগর থানাধীন পশ্চিম চন্দ্রপুর এক নং ওয়ার্ডে। জানা গেছে,দুই বছর পূর্বে পশ্চিম চন্দ্রপুর এক নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল ছত্তারের ছেলে আস্কর আলীর সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় উত্তর হুরুয়া গ্রামের শফিক মিয়ার মেয়ে সঞ্চিতা বেগমের। বিয়ের পর কয়েক মাস ঠিক ঠাক কাটলেও তারপর থেকে শুরু হয় স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।টাকা,বাইক ও গাড়ির বায়না ধরে প্রায়শই মারপিট করতো স্বামী। এমনই অভিযোগ মৃতের বাবার।তা নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে সালিশি সভা পর্যন্ত গড়িয়েছিল।মেয়ের কথা চিন্তা করে সঞ্চিতার বাবা মেয়ের জামাইকে বার কয়েক কিছু টাকাও দিয়েছিলেন।এরই মাঝে তাদের কোল আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।যার বয়স প্রায় এগারো মাস। কিন্তু বুধবার মাঝ রাতে সঞ্চিতার স্বামী তার বাবার কাছে ফোন মারফত জানায় তাদের মেয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।খবর পেয়ে মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর থানায়।খবর পেয়ে ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। এদিকে মৃতার বাবার অভিযোগ,তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই আস্কর আলি।প্রথমে আগুনে পুড়ে মারতে চেয়েছিল। ঘরের অনেক আসবাবপত্র পুড়ানো রয়েছে এমনই অভিযোগ মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন এর। পরবর্তীতে গলা টিপে তার মেয়েকে হত্যা করে ফাঁসিতে মৃত্যুর রুপ দিচ্ছে।তাই মেয়ের জামাইয়ের ফাঁসির দাবি তুলেছেন মৃতার বাবা।