রাজ্যের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে রাজা সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। সরকারের আন্তরিকতায় কোনও ঘাটতি নেই। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের যতটা সম্ভব কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানো যায়, সেই লক্ষ্যে রাজ্যের সর্বত্র কর্মযজ্ঞ চালু রয়েছে।
ক) রাজাভিত্তিক হাসপাতাল-৬
খ) জেলাভিত্তিক হাসপাতাল-৬
গ) মহকুমা হাসপাতাল-১৪
ঘ) কমিউনিটি হেলথ সেন্টার – ২১টি ।
৫) প্রাইমারি হেলথ সেন্টার – ১১৮টি (৮টি শহর এলাকায় UPHC সহ) ।
চ) হেলথ সাব সেন্টার – ১৯৯ টি ।
গ) ব্লাডব্যাঙ্ক – ১০ (সরকারী-১১, বেসরকারী-০২)।
(অ) ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট ০৬ (সরকারী -OB, প্রাইভেট -02 ) ।
ঝ) ব্লাড স্টোরেজ সেন্টার – ০৭ ।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন : সাফল্য – ২০২২-২৩
১। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব- সুস্থ কৈশোর অভিযান – 1. অন্ধ্রে কৃমি সংক্রমণ, ভিটামিন-এ-র অভাব, শৈশবে ডায়রিয়া এবং আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব ভারতের মতো দেশে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয়। এইসব ঘাটতি শিশুর পুষ্টি গ্রহণে বাধাসৃষ্টি করে এবং শিশু বা কিশোর-কিশোরীরা অপুষ্টি, রক্তাল্পতায় ভোগে। সেইসঙ্গে তাদের শিক্ষাগত, শারীরিক ও মানসিক বিকাশও ব্যাহত হয়। নিয়মিত কৃমিনাশক ওষুধ সেবন, জিঙ্ক, আইএফএ পরিপূরক গ্রহণ করলে শিশু ও কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। ভিটামিন-এ, ওআরএস ও জিঙ্ক, আইএফএ পরিপূরক গ্রহণ করলে সেইসঙ্গে শিশু ও কিশোর কিশোরীদের পুষ্টি, সামগ্রিক বিকাশ এবং জীবনমান উন্নত হবে।
- মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব- সুস্থ কৈশোর অভিযান-১.০-র সাফল্য
১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব, সুস্থ কৈশোর অভিযান-র পক্ষকালব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি সংগঠিত করা হয়। এই কর্মসূচিতে জাতীয় কৃমিনাশক দিবসে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৯৩ জন ছেলেমেয়েদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৯২ জন ৯ মাস বয়স থেকে ৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ভিটামিন-এ পরিপূরক খাওয়ানো হয়েছে। ইনটেনসিফায়েড ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ পক্ষকাল কর্মসূচির আওতায় ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯৪৮ জন ০-৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ও আর এস খাওয়ানো হয়েছে। আয়রন ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্টেশন কর্মসূচির আওতায় ১০ লক্ষ ৭ হাজার ১৪৫ জন ৬ মাস বয়স থেকে ১৯ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের আই এফ এ সিরাপ, গোলাপী এবং নীল ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।
111.মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব- সুস্থ কৈশোর অভিযান ২.০-র সাফল্য
২১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত রাজ্য জুরে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব- সুস্থ কৈশোর অভিযান-র বিশেষ কর্মসূচি সংগঠিত করা হয়। এই কর্মসূচিতে জাতীয় কৃমিনাশক দিবসে ১০ লক্ষ ১ হাজার ৬৭০ জন ছেলেমেয়েদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। ১ লক্ষ ৬ হাজার ১৯ জন ছেলেমেয়েদের ৯ মাস বয়স থেকে ৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ভিটামিন-এ পরিপূরক খাওয়ানো হয়েছে। ইনটেনসিফায়েড ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ৪৮ হাজার ২৭৭ জন ছেলেমেয়েদের ০-৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের ও আর এস খাওয়ানো হয়েছে। আয়রন ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্টেশন কর্মসূচির আওতায় ৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন ছেলেমেয়েদের ৬ মাস বয়স থেকে ১৯ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের আই এফ এ সিরাপ, গোলাপী এবং নীল ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পোষন অভিযান-এর অন্তর্গত শূন্য থেকে ৬ বছর বয়সের ২ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৩২ জন ছেলেমেয়েদের ওজন ও উচ্চতা মাপার মাধ্যমে পুষ্টিমান নির্ণয় করা হয় এবং তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
২। আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্প ২৩ সেপ্টম্বর ২০১৮ রাজ্যেও চালু হয়। ফিল্ড সার্ভে অনুসারে মোট সুবিধাভোগীর সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৪ লক্ষ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে (আগস্ট মাস পর্যন্ত) সুবিধাভোগীদের ১৫ হাজার ৫০৬ টি ই- কার্ড ইস্যু করা হয়েছে । এখন পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ।এই প্রকল্পে ৩১ হাজার ৬৬৪ জন চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন উপকৃত হয়েছেন।
৩। স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র (Health & Wellness Centre ) :- সকল অংশের মানুষের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা সু- নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রে উন্নীত করা হচ্ছে । ২০১৯-২০ এর মধ্যে ৪৩৪ টি অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ (আগস্ট) অর্থবছর পর্যন্ত ৫৪৯ টি স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র চালু আছে। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে, ১০১ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১৪ টি আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে স্বাস্থা ও সুস্থতা কেন্দ্রে উন্নীত করা হয়েছে।
৪।জননী শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম (JSSK)
এই কর্মসূচিতে গর্ভবতী মা ও অসুস্থ নবজাত শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধ, রোগ নির্ণয় প্রীক্ষা, রোগী পরিবহণ ইত্যাদি পরিষেবা প্রদান করা হয়। ২০২২-২৩ (জুলাই পর্যন্ত) অর্থ বছরে এই কর্মসূচিতে ৯ হাজার ৬৮২ জন গর্ভবতী মহিলা ও ১ হাজার ৯৩৪ জন নবজাত শিশুকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে । জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রূপায়নের ফলে রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বেড়ে হয়েছে ৯৬%। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রূপায়নের ফলে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমে হয়েছে ১৮।
৫। জননী সুরক্ষা যোজনা (JSY)ঃ-
তপশীলি জাতি, জনজাতি এবং দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী সাধারণ ক্যাটাগরির গর্ভবতী মায়েদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় । এক্ষেত্রে শহরে বসবাসকারীদের ৬০০ টাকা এবং গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারীদের ৭০০ টাকা দেওয়া হয় । ২০২২-২৩ (জুলাই পর্যন্ত) অর্থবর্ষে ৩০০০ জন গর্ভবতী মায়েদের জননী সুরক্ষা যোজনা-র আওতায় সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
৬। বর্তমানে মায়েদের প্রসবকালীন নিরাপত্তার জন্য ৭ টি ‘মায়ের ঘর’ চালু করা হয়েছে ।
৭। জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২৩ (জুলাই পর্যন্ত) অর্থবর্ষে ১৪ হাজার ৫৮৫ জন শিশুকে (০-১ বছর) পূর্ণ টিকাকরণ করা হয়েছে এবং ১৩ হাজার ২১২ জন গর্ভবতী মা’কে টিটেনাস-ডিপথেরিয়া টিকা প্রদান করা হয়েছে । জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রূপায়নের ফলে সম্পূর্ণ টিকাকরণের হার বেড়ে হয়েছে ৯৪% শতাংশ।
৮। রাষ্ট্রীয় বাল শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম (RBSK) কর্মসূচিতে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্মগত শারীরিক ত্রুটি, রোগ, দেরীতে বেড়ে ওঠা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করা হয় । ২০২২-২৩ (জুন পর্যন্ত) অর্থবর্ষে ৩ হাজার ৭৬৬ জনকে এই পরিষেবার আওতায় আনা হয়েছে।
৯। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ডায়ালাইসিস প্রোগ্রামে ২০২২-২৩ (জুলাই পর্যন্ত) অর্থবর্ষে বিনামূল্যে ৮ হাজার ৪৮১ টি হেমোডায়ালাইসিস সেশনের মাধ্যমে রোগীদের পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে ।
১০। ২০২২-২৩ অর্থবছর (জুলাই পর্যন্ত) অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে (NPCDCS) (ইউনিভার্সেল পপুলেশান বেইসড বেইসড চেকলিস্ট সার্ভে অনুযায়ী) মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫৪ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ডায়াবেটিস রোগে -৮ হাজার ১৫৪ জন, উচ্চরক্তচাপ জনিত রোগে – ১৬ হাজার ৯৯২ জন, বিভিন্ন ক্যান্সার রোগে – ৫০ জন, হৃদরোগে- ৩৯১ জন, স্ট্রোক জনিত রোগে – ২৫০ জন আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১১। সারা রাজ্যে যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণ প্রকল্পের (NTEP) আওতায় সকল যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের জন্য চিকিৎসা চলাকালীন প্রতিমাসে নিক্ষয় পোষণ যোজনার ৫০০ টাকা করে সরাসরি রোগীর ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য ও আশা কর্মীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এক্টিভ কেস ফাইন্ডিং করতে প্রতিনিয়ত ভিজিট করছেন । এতে সমাজে সচেতনতার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই পর্যন্ত) ১০ হাজার ৮৯৮ জনের টিবি রোগের পরীক্ষা হয়েছে। ২১ মার্চ, ২০২২ সালে টিবি মুক্ত রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত হয়েছে ত্রিপুরা।
১২। জাতীয় পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প (NVBDCP) : রাজ্য ও জেলা স্তরে ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে আন্ত ঃ বিভাগ সমন্বয় সাধনের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে । গ্রাম পাহাড়ে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমানোর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবির, বিনামূল্যে রক্তপরীক্ষা, ম্যালেরিয়া শনাক্তকৃত রোগীদের সম্পূর্ণ মাত্রায় ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই পর্যন্ত) ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪৫৪ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে । এরমধ্যে ৮ হাজার ৮৩১ জনের রক্তে ম্যালেরিয়া পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদের সবাইকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।
১৩। জাতীয় কুষ্ঠ নির্মূলিকরণ কর্মসূচি: কুষ্ঠরোগীদের চিকৎসার ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার আন্তরিক। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুষ্ঠরোগ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা কিংবা সন্দেহজনক রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুবন্দোবস্ত করে দেওয়া এবং ১০০ শতাংশ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। জাতীয় কুষ্ঠ নির্মূলীকরণ অভিযানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই পর্যন্ত) ১০ জন নতুন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
১৪ । কায়াকল্প পুরস্কার
- কায়াকল্প, ভারত সরকারের একটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পের একটি বিশেষ কর্মসূচী এবং এই কায়াকল্প প্রকল্পে সকল পর্যায়ের সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষ্কার পরিচ্ছতা, হাসপাতালের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং হাসপাতালের বর্জ্য নিষ্কাশনের বিষয়গুলি নিয়ে ত্রিস্তরীয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পর্যবেক্ষণের নিরিখে হাসপাতালগুলি জাতীয়মানের ৭০% সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছতা বজায় রাখতে পারলে তাদের কায়াকল্প পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
II. ২০২১-২২ সালে ত্রিপুরার ১৩৭ টি জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রকে কায়াকল্প পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। যেসব হাসপাতালগুলিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় সেগুলি হলো ধলাই জেলা হাসপাতাল, দক্ষিণ জেলার মনু বাজার সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পশ্চিম জেলার মধ্যপ্রতাপগড় আর্বান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দক্ষিণ জেলার পূর্ব পিপরাই খোলা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেরা পরিবেশ বান্ধব হাসপাতাল হিসাবে ধলাই জেলা হাসপাতাল এবং দক্ষিণ জেলার মনুবাজার সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে সম্মানিত করা হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ সালে ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্টেন্ডার্ডস -এ জাতীয় স্তরের মানাতা প্রাপ্ত রাজ্যের ৭ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় । এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি হলো- বাইখোরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তুলামুড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আঠারোভোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তৈবান্দাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চাচুবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জম্পুই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং আশ্রমপাড়া আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ।
১৫। মুখ্যমন্ত্রী মিশন দৃষ্টি:- মুখ্যমন্ত্রী মিশন দৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে এ পি এল রেশন কার্ড হোল্ডার ছাড়া বি পি এল এবং অন্তঃদ্বয়ভুক্ত চল্লিশোর্ধ সমস্ত সুবিধাভোগীদের বিনামূল্যে চশমা প্রদান করা হয়। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মিশন দৃষ্টি প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ( ৩০ আগস্ট পর্যন্ত) ৮ টি জেলায় সর্বমোট ১১ হাজার ৯৩৪ টি চশমা প্রদান করা হয়েছে।
১৬। রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্থ্য কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় কিশোর স্বাস্থ্য কার্যক্রমের অন্তর্গত কিশোরী সুচিতা অভিযান-এ ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজ্যে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩০৪ টি সেনিটারি ন্যাপকিন কিশোরীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
১৭। কোভিড টিকাকরণ: ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচী:- ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকাকরণ-এ ৫৭ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৩২ জন কোভিড টিকার তিনটি ডোজ নিয়েছে।এর মধ্যে ২৯ লক্ষ্য ১২ হাজার ৮৮৩ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ২৫ লক্ষ ৮ হাজার ৩৬৯ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৮০ জন কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
রাজ্যে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৬২২ জন প্রথম সারির কর্মীরা কোভিড টিকার তিনটি ডোজ নিয়েছেন।
• ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৯৩ জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীরা কোভিড টিকার তিনটি ডোজ নিয়েছেন।
Script
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকার সাফল্য :- এজিএমসি অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতাল
১. আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবিপি হাসপাতালের অধীনে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে কার্ডিওলজি এবং ইউরোলজি বহির্বিভাগ পরিষেবা শুরু হয়েছে।
২. জয়ন্তী ব্লকে স্বনির্ভর জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ চালু হয়েছে।
৩. জয়ন্তী ব্লকে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগকেও স্থানান্তর করা হয়েছে।
৪. মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে যেখানে রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ, জেরিয়াট্রিক বিভাগ রয়েছে সেখানে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৬০ শয্যা বিশিষ্ট করা হয়েছে।
৫. ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩১ জন চিকিৎসক সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ করা হয়েছে। আরেকজনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৬. আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ, ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল এবং অটল বিহারী বাজপেয়ি রিজিওন্যাল ক্যান্সার সেন্টারের জন্য মোট ৯৭ জন চিকিৎসক জুনিয়র রেসিডেন্ট পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। শীঘ্রই দিকে নিয়োগপত্র সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নার্সিং:
১. রাজ্য সরকারের ৩৫ শতাংশ শেয়ারে হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা ইন্সটিটিউট অব প্যারামেডিকেল সায়েন্স (TIPS ) এর অধীনে স্কুল অ্যান্ড কলেজ অব নার্সিংয়ে এম এসসি নার্সিংয়ে এই প্রথমবার ভর্তির জন্য ৩ টি নমিনেশন জারি করা হয়েছে।
২. এএনএম/জিএনএম কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
৩. 2022-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ইকফাই ইউনিভার্সিটিতে ৫০ আসন বিশিষ্ট জিএনএম কোর্স চালু করা হয়েছে।
৪. আইএলএস নার্সিং ইনস্টিটিউট, আগরতলাতে ৫০ আসন বিশিষ্ট বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করা হয়েছে।
৫. সর্বদয়া ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং সায়েন্স, মেলাঘরে ৬০ আসন বিশিষ্ট জিএনএম কোর্স চালু করা হয়েছে।
রিপস্যাট (RIPSAT) :
১. RIPSAT-এ ৬ আসন বিশিষ্ট এম ফার্মা কোর্স চালু করা হয়েছে। নতুন গালর্স হোস্টেল নির্মাণের জন্য এআইসিটিই (AICTE) কর্তৃক ৩ (তিন) কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। RIPSAT রিসার্চ ডেভেলপ্টমেন্টের জন্য এআইসিটিই (AICTE) অনুমোদিত ৫৩ লক্ষ টাকা পেয়েছে।
প্যারামেডিক্যাল : ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অব প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স (TIPS) :- ২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে ত্রিপুরা ইনস্টিটিউট অব প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স (TIPS) এ ৬ টি নতুন কোর্স চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল:
১. মাস্টার অব মেডিক্যাল লেবরেটরি টেকনোলজি (৫ আসন)
২. মাস্টার অব ফিজিওথেরাপি (৫ আসন)
৩. মাস্টার অব অপটোমেট্রি (৫ আসন)
৪. মাস্টার অব হসপিটাল এডমিনিস্ট্রেশন (৫ আসন)
৫. মাস্টার অব মেডিক্যাল রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং টেকনোলজি (৫ আসন) ব্যাচেলার অব ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন (২০ আসন)