টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের চিন্তা বাড়ছিল। জসপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় পেসারদের মধ্যে কারও ফর্মই স্বস্তির নয়। বুমরা একা সব দায়িত্ব নেবেন, এমন প্রত্যাশা না রাখাই শ্রেয়। স্কোয়াডে বাকি দুই পেসারের মধ্যে মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে চিন্তা ছিল আরও বেশি।

ক্রমশ তা বাড়ছিল। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স আরসিবি সমর্থকদেরই শুধু নয়, ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছেও বিরাট স্বস্তির। অথচ তাঁর নাকি খেলারই কথা ছিল না!

অ্যাওয়ে ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ঘরের মাঠেও হারাল। যদিও অল্প রান তাড়া করতে নেমেও খেই হারিয়েছিল আরসিবি। শেষ অবধি জিতে মাঠ মাঠ ছাড়তে পেরেছে আরসিবি, এটাই তাদের স্বস্তি। পয়েন্ট টেবলেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে। মঞ্চটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররাই। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সিরাজ। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট।

ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে সিরাজ খোলসা করলেন, ‘গত রাতে আমি প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলাম। এই ম্যাচে আমার খেলারই কথা ছিল না। এই পুরস্কার পেয়ে দারুণ লাগছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছুটা ফ্রেশ লাগছিল। আমিও ভাবিনি খেলতে পারব। ঘুম থেকে ওঠার পর কল্পনা করছিলাম, ম্যাচে আমি এ ভাবে সাহাকে আউট করব। উইকেটের পিছনে ক্যাচ হবে।’সিরাজের কল্পনাই অবশ্য সত্যি হয়। তাঁর তৃতীয় ডেলিভারিতে উইকেটের পিছনে দীনেশ কার্তিকের ক্যাচেই ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। নিজের অফ ফর্মের প্রসঙ্গে বলেন, ‘দীর্ঘ দিন লাল-বলে খেলছিলাম। ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে সাদা বলে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। সে কারণেই ছন্দ পেতে সময় লাগছে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post কীভাবে খালাস করা হল দূর্গাপ্রসন্ন কে? সুস্মিতার ব্লু প্রিন্ট নাকি অমিতের?
Next post ভোট প্রচারের মাঝেই রাম মন্দিরে মোদী, রামলালাকে করলেন সাষ্টাঙ্গে প্রণাম!
%d bloggers like this: