২০০৯ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি।সেদিনটাও ছিল শুক্রবার। যা আজ ইতিহাসের পাতায়। এদিন সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৭টা নাগাদ দ্রুতগতিতে জয়পুর রোড স্টেশন পেরনোর সময় ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হয়ে দু’দিকে ছড়িয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। সেই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৬ জন যাত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ৬ই মার্চ যাত্রা শুরু করা এই এক্সপ্রেস আরও কয়েকবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এর আগে ২০০২ সালের ১৫ই মার্চ অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৭টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে কমপক্ষে ১০০ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছিল। এর পরের দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে। এর বছর তিনেক পর আবারও বিভীষিকার রাত দেখে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি, চেন্নাই- হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় আগুন লাগে। ঘটনাটি ঘটেছিল লিঙ্গরাজ স্টেশনের কাছে। সে বছরই আবার ৩০শে ডিসেম্বর ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় করমণ্ডলের ধাক্কায় ৬টি হাতির মৃত্যু হয়। এরপর ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, অন্ধ্রপ্রদেশের নিদাদাভলু স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের জেরে দু’টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে গতকাল রাতের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অতীতের সমস্ত দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ এবার ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দু’শোর গণ্ডি পেরিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।এদিকে ৯০০’র বেশি যাত্রী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। এদিন রাতেই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদেরকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং কম আঘাত প্রাপ্তদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে।এডীকে সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ।