এবার ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে মাঠে নামলো ঊনকোটি জেলা কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমার কাছে ডেপুটেশন প্রদান করে। ডেপুটেশনে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা রুনু মিঞা, আশীষ সেনগুপ্ত সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দরা। মুলত ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন সহ মোট ৫দফা দাবী সনদ জেলা শাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ডেপুটেশন শেষে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান জানান যে, সাম্প্রতিক কালে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ করে। এই ছয় কোটি টাকা দিয়ে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে বড় মাপের পার্কিং জোন নির্মান করা হবে এবং বড় মাপের ওপেন থিয়েটার নির্মান করা হবে এবং আরও অন্যান্য উন্নয়ন মূলক কাজ করা হবে। এই ছয় কোটি টাকার কাজের ইতিমধ্যে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। কিন্তু বন দপ্তরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কারনে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। যারফলে ছয় কোটি টাকা ফেরত চলে যাবার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান জানান যে, রাজ্যের কাঞ্চনপুর এলাকায় এবং রাজ্যের অন্যান্য রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় রিয়াং শরনার্থী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে, তখন কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তাহলে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কেন? অবিলম্বে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে যদি উন্নয়নের কাজ শুরু না হয় এবং ছয় কোটি টাকা ফেরত চলে গেলে কৈলাসহরবাসীর স্বার্থে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কৈলাসহরে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। এমনকি কৈলাসহরে বনধও ডাকা হবে বলে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান হুশিয়ারি দেন, এছাড়াও ডেপুটেশনে অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো, চলতি বছরের ৩১ জুলাই গৌরনগর আর.ডি ব্লক কর্তৃক প্রকাশিত পি.এম.এ.ওয়াই.জি লিস্ট বাতিল করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নয়টি পঞ্চায়েতকে ন্যায্য পরিমাণে ঘর প্রদান করতে হবে। বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি রোধ এবং কৃষি কার্যের উপযুক্ত শত শত কানি কৃষি জমি স্বাভাবিক রেখে কৃষির দ্বিগুণ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট নালা মরাছড়া, পাবনিছড়া সহ মনু নদীর সাথে যুক্ত সবকটি নালাকে রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে অতিসত্বর সংস্কার করতে হবে। এই জেলার অন্তর্গত যে সকল এলাকায় এখনো পর্যন্ত জলের সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি সেই সকল পরিবারগুলোকে যথাযোগ্য সোর্সের মাধ্যমে জল সংযোগ স্থাপন করতে হবে। জেলাশাসক প্রত্যেকটি দাবি সনদ গুরুত্ব সহকারে শোনার পর জানান, ইতিমধ্যে ঊনকোটির উন্নয়নের জন্য ভারত সরকারের ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট ৬৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের সত্তর কোটি টাকায় সোনামুখী চা বাগান এলাকায় একটি লেইক সহ রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণ করা হবে। জেলাশাসক জানান সমস্ত কাজ এ বছর শুরু হবে। তিনি জানান আগামী দুবছরের মধ্যে ঊনকোটি জেলার চেহারা পাল্টে যাবে।