মোহিনী নগর এডিসি ভিলেজে প্রায় ৩৫ পরিবের ১৭৫ জন লোকের বসবাস । প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর জল জীবন মিশন এই এলাকার বটুয়া বাড়ীর উপজাতি জনগনের কাছে স্বপ্নের ফরিওয়ালা মাত্র। বিলোনীয়া মহকুমার ঋষ্যমুখ ব্লকের অন্তগত মোহিনী নগর এডিসি ভিলেজ। সম্পুর্ন উপজাতি মানুষের বসবাস। খোঁজ নেওয়ার বিন্দু মাত্র সময় নেই এলাকার নেতৃত্ব পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের আধিকারিকদের। তীব্র জলের সমস্য মোহিনী নগর এডিসি ভিলেজের বটুয়া বাড়ীর মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। দীর্ঘদিন গ্রামে জলের দাবিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ব্লক এমনকি শাসক দলের নেতাদের বারবার বলার পরেও পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে বিন্দু মাত্র উদ্যোগ গ্রহন করেনি। গ্রামের শিশু, বৃদ্ধ নারীরা কখনো কাধের ভারে করে কখনো বা মাথায় কলসী ,ডেক মাথায় নিয়ে প্রায় দুই – তিন কিমি দূর থেকে জল সংগ্রহ করে এনে তৃষ্ণা মেটানো থেকে রান্না, স্নান থেকে শৌচালয়ের জন্য ব্যাবহার করতে হচ্ছে। বিজ্ঞাপন সর্বস্য সরকারের জল জীবন মিশন প্রকল্পের খপ্পরে পরে জলের জন্য হাহাকার করছে বটুয়া বাড়ী জনজাতিরা। সবেধন নীলমনি বটুয়াবাড়ী অঙ্গনোয়াড়ি কেন্দ্র একটি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তাও কোন রকম একটি পাইপ মাটিতে শুয়ে দিয়ে দায়িত্ব খালস করেছে পঞ্চায়েত ও জল সম্পদ দপ্তর। বর্তমানে সেই পাইপ দিয়েও তেমন জল পরছেনা।
মঙ্গলবার সকালে বটুয়া বাড়ীর রমনীরা বটুয়া বাড়ী অঙ্গনোয়াড়ি কেন্দ্রে জলের জন্য ফাইবের সামনে ডেক, কলস ,বালতী ,ঘটি ,বাটি নিয়ে অধির আগ্রহে বসে শুধুই প্রহর গুনছে এক ফোঁটা জলের জন্য। জল নিতে আসা দেবলক্ষি ত্রিপুরা জানায় জলের সমস্যা। এই সমস্যা দুই থেকে আড়াই বছরে সবচেয়ে বেশী দেখা দিছে। তার পূর্বে এমন সমস্যা হয়নি। তিনি জানান গ্রামে জলের পাইপ লাইন বহু পুরানো কিন্তু এখন শুধু যাদের টাকা আছে তাদের বাড়ীতে জলের জন্য ব্যাবস্থা করছে সরকার আর গরীব মানুষ ভাতও পায়না । এখন জলও নাই খাইয়া মরনের সময় হইছে। দেবলক্ষি আরো জানান অঙ্গনোয়াড়ি কেন্দ্রের জলের পাইপ দিছে । জল সব সময় পরেনা। কারেন্ট থাকলে একটু একটু করে জল পরে কারেন্ট না থাকলে জল বন্ধ। বাধ্য হয়ে বটুয়া বাড়ীর নীচের ছড়ার জল আনেত হয়। প্রায়ই কারেন্ট থাকেনা মোহিনী নগরে অনেক সময় জল না খাইয়াও দিন কাটাতে হয় বটুয়া বাড়ীর গরীব মানুষদের। পঞ্চায়েত, বি ডি ও, বিজেপি নেতা , মথার নেতা সবাই জানে সবাইকে জলের ব্যাবস্থা করার জন্য বহুবার বলার পরেও কোন কাজ হয়নি। এখন জল না খাইয়া মানুষ মড়ক এটাই মনে হয় নেতা অফিসাররা চাইতাছে। তিনি জানান দ্রুত এলাকায় পানীয় জলের ব্যাবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান দেবলক্ষি ত্রিপুরা সহ গোটা এলাকার মানুষ।