স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৬ জন। বুধবার এই আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ১৫১ জন। অর্থাৎ একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল, দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়াল ২.৭৩ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেটও বেড়ে হয়েছে ১.৭১ শতাংশ। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে। বর্তমানে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৫০৯।গত ২৪ ঘণ্টায় মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ৬ জনের। মহারাষ্ট্রে তিন ও দিল্লিতে ২ এবং হরিয়ানায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশের মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৬২। তবে এরই মধ্যে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। ৯৮.৭৮ শতাংশ রোগীই করোনাকে হার মানিয়েছেন। পাশাপাশি হাসপাতালে ভরতির সংখ্যাও ক্ষীণ। আসলে ওমিক্রনের এক্সবিবি ভ্যা রিয়েন্টের দাপটে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যাট। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ নিয়ে ফের নতুন নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্যে সংস্থা (WHO)। তাতে বলা হয়েছে, করোনার টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া হয়ে গেলেও ফের নতুন করে বুস্টার ডোজ নিতে হবে। বুস্টার নেওয়া থাকলেও পুনরায় নিতে হবে বুস্টার। আগের টিকা থেকে নতুন বুস্টার ডোজের ব্যতবধান ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে হতে হবে।এনিয়ে WHO-র বক্তব্যা, কতদিন পরে নতুন বুস্টার নিতে হবে তা রোগীর শরীরের অবস্থা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখে চিকিৎসক ঠিক করবেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, কানাডায় করোনার বুস্টার ডোজ চালু হয়ে গিয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ বাড়িয়ে তুলতে ও অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে বুস্টার নেওয়ার বিকল্প কিছু নেই বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।