রাজ্যে হতে যাচ্ছে পুনরায় নির্বাচন। ধনপুরবাসী সম্মুখিন হতে চলেছে পুনরায় উপনির্বাচনের। ধনপুর কেন্দ্র থেকে ২৩’র বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে বি জে পি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জয়লাভ করেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে একই সাথে দুটো পদ রাখতে পারেন না প্রতিমা ভৌমিক। হয় সাংসদ পদে থাকতে পারবেন নয়তো বিধায়ক পদ রাখতে পারবেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রতিমা ভৌমিক নিজের সাংসদ পদ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। যথারীতি নিয়ম অনুসারে নিজের বিধায়ক পদ থেকে বুধবার পদত্যাগ করেন। সকাল সকাল বিধানসভায় গিয়ে রাজ্য বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাসের হাতে নিজের পদত্যাগ পত্র তুলে দেন তিনি।
২০১৯ সালে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিমা ভৌমিক কে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রী সভায় কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল যদি পদত্যাগ-ই করার ছিল তাহলে কেন প্রতিমা ভৌমিক এবারের নির্বাচনে নিজেকে সামিল করেছিলেন কেনই বা জয় লাভের পর সাংসদ পদে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন? পেছনে কি অন্য কোন কারন? নাকি সত্যি অর্থেই দলীয় নির্দেশের পালন!
যদিও এবার প্রশ্ন উঠছে ধনপুরে হতে যাওয়া উপ নির্বাচনে কাকে করা হতে পারে বি জে পি দলের মুখ? কে হবেন দীর্ঘ বামের দখলে থাকার পর ২৩ এ সদ্য বি জে পি’র হাতে আসা এই হেভিওয়েট বিধানসভা কেন্দ্রের শাসক দলীয় প্রার্থী? তা নিয়ে চলছে নানাহ গুঞ্জন! একাধিক নাম এই কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে। সুত্রের খবর চড়িলামের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিন্সু দেব্বর্মাকে করা হতে পারে এই কেন্দ্রের মুখ। জিষ্ণু দেব্বর্মাকে এই কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে এনে দেওয়া হতে পারে পুরনো দায়িত্ব! মন্ত্রী সভায় ও পাবেন গুরুত্বপুর্ন স্থান। যদিও তা নিয়েও রয়েছে একাধিক জল্পনা। কবে নাগাদ হবে নির্বাচন তাও নির্ভর করছে জেতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর। নির্বাচন কমিশন তারিখ নির্ধারন করলেই হবে নির্বাচন। সর্বোপরি বলা ভাল এই একবছরে রাজ্য বাসীকে অনেকগুলো নির্বাচনের স্বচিত্র দেখতে হবে!