চেন্নাই এ একটি দোকানে কাজ করত অসীম দাস । সেখানেই কাজ করতো বিলোনিয়া পুরান রাজবাড়ী থানার অধীন নিহারনগরের কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা অসীম। বয়স ২৪। একসময় উভয়ের মধ্যে পরিচয় সূত্রে প্রণয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেকদিন প্রণয় সম্পর্কের পর দুইজনে একসাথে থাকতে শুরু করে। সায়েরা সাম্মার অভিযোগ তাকে এক বছরের মধ্যে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চেন্নাইতে অসীম দাসের সাথে সে একসাথে দুজনে থাকতে শুরু করে। এক বছর পর বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করলে তার উপর অত্যাচার চালাত অসীম দাস। এই অবস্থায় চেন্নাই যে বাড়িতে থাকতো তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের কারণে বাড়ি থেকে মালিক তাদের বের করে দেয়। সাহেরা সাম্মা ও অসীম দাস দুজনেই চলে আসে গোহাটিতে সায়েরা সাম্মার মাসির বাড়িতে। কয়েকদিন থাকার পর দুই জনের মধ্যে আবার ঝগড়া শুরু হয়। সেখান থেকেও তারা বেরিয়ে চলে আসে। দুজনে আবার চেন্নাই ফিরে যায়। কিছুদিন পর অসীম দাস সায়েরা আম্মাকে বিয়ে করবে বলে বিলোনিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোহাটি রেল স্টেশনে আসার পর অসীম দাসের আর কোনো খোঁজ নেই। এই অবস্থায় সায়েরা সাম্মা খোঁজ খবর নিয়ে গোহাটি থেকে আগরতলা হয়ে বিলোনিয়ায় এসে পৌঁছায় রবিবার। এদিন সে খোঁজ নিয়ে প্রথমে বিলোনিয়া মহিলা থানায় আসে।পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ জানায়। এরপর বিলোনিয়া মহিলা থানা থেকে পাঠানো হয় পুরান রাজবাড়ী থানায়। সেখান থেকে বিকেলে পুরান রাজবাড়ী থানার পুলিশ নিহার নগর কৃষ্ণনগরে অসীম দাসের বাড়িতে নিয়ে যায় সায়েরা সম্মাকে। ছেলের বাড়ি তাকে পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেয়। কিন্তু সেখানে অসীম দাসের কোন সন্ধান পায়নি সায়েরা সাম্মা। এই অবস্থায় সে পুলিশের সহযোগিতায় চেন্নাই ফিরে যাওয়ার জন্য রবিবার সন্ধ্যায় বিলোনিয়া রেল স্টেশনে পৌঁছায়। সায়েরা সাম্মার অভিমত অসীম দাস সম্ভবত আবার চেন্নাই ফিরে গেছে। তাই সায়েরা সাম্যা চেন্নাইয়ে যাওয়ার জন্য এদিন পুরান রাজবাড়ী থানার পুলিশের সহযোগিতায় বিলোনিয়ার রেল স্টেশনে পৌঁছায় সন্ধ্যায়। এখান থেকে রেলে করে সে রওনা দেয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post মিড ডে মিল কর্মী ছাঁটাই বন্ধের দাবি
Next post আপন ছোট ভাইয়ের হাতে খুন বড় ভাই ঘটনা এয়ারপোর্ট থানা দিন লক্ষ্মিলুঙ্গা চা বাগান এলাকায়!
%d bloggers like this: