30 শে মে মংগলবার দুপুরে গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শিব শংকর অধিকারী নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, বিগত প্রায় তিন বছর ধরে কৈলাসহর মহকুমায় বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্বে রয়েছে বহিঃরাজ্য থেকে আগত “সাই কম্পিউটার লিমিটেড” নামক বেসরকারি সংস্থা। যেদিন থেকে এই বেসরকারি সংস্থাটি কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্ব পায়, সেদিন থেকেই কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে শিব শংকর অধিকারী দাবী করেন। তিনি বলেন, কৈলাসহরে হাল্কা বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় সময়ই বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ গোলযোগ দেখা দিলে অনেকে উনার সাথে কিংবা দলের আরও অন্যান্য নেতৃত্বদের সাথে যোগাযোগ করলে উনারা সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পর কোন ধরনের ভুমিকাই নেয় না সংস্থার কর্মীরা। তাছাড়া উনি কিংবা দলীয় অন্যান্য নেতৃত্বরা সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে গিয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানোর পরও কোন ধরনের পাত্তাই দেয় না সংস্থার কর্মীরা। শহরের এক বাড়িতে শিব শংকর অধিকারী উনার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। শহরের এই ভাড়া বাড়িতে গত দুই দিন পূর্বে সকাল বেলা বিদ্যুৎ পরিষেবায় গোলযোগ দেখা দেওয়ায় যুব মোর্চার ঊনকোটি জেলা কমিটির সভাপতি অরুপ ধর এবং বিজেপি ঊনকোটি জেলা কমিটির প্রথম সারির নেতারা সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পরও সংস্থার কর্মীরা বিদ্যুৎ সারাই করে দেয়নি। পরবর্তী সময়ে গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শিব শংকর অধিকারী উনি নিজে সাই কম্পিউটার সংস্থার অফিসে গিয়ে উনার পরিচয় দিয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরও রাত বারোটা অব্দি সংস্থার কর্মীরা বিদ্যুৎ-এর লাইন সারাই করে দেয়নি। শিব শংকর অধিকারী জানান যে, উনাদের মত জন প্রতিনিধিদের কিংবা দলের প্রথম সারির নেতৃত্বদের সাথে যদি সাই কম্পিউটার সংস্থার কর্মীরা এমন আচরণ করে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষদের অবস্থা কি হবে তা সহজেই অনুমেয় করা যায়। অবিলম্বে কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিসেবা স্বাভাবিক করতে হলে সাই কম্পিউটার সংস্থাকে বিতারিত করা উচিত হবে বলে মনে করেন শিব শংকর অধিকারী। শিব শংকর অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, শহরে লড়াই সংগ্রাম করে বিদ্যুৎ কিছু সময়ের জন্য আদায় করা গেলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ-এর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।