রাজ্যবাসীর মনে আছে বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৯ বনমালীপুরের মন্ডল সভাপতির দুর্নীতির বানিজ্য কিভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছিল! একপ্রকার বিপ্লব দেব কে ঘুমের মধ্যে রেখে বিক্রি করে দেওয়ার মত ঘটনা। সামনে বিপ্লব দেবকে ভালো চেহারা দেখালেও এই মন্ডল সভাপতি পেছনে পেছনে বিপ্লব দেবের নামে হুমকি দিয়ে এলাকা থেকে আদায় করত তোল্লা! এই মহান প্রাক্তন মন্ডল সভাপতির নাম দীপক কর! বিপ্লব দেব পদচ্যুত হওয়ার পর মন্ডল নেতাদের হাতেই “ছেঁচড়া” কেলানি খেয়েছিল কিছু লোকের কাক্কু তথা হালের মন্ডল সভাপতি দীপক কর! বনমালীপুরো কান পাতলে শোনা এই দীপক করের চেষ্টায়-ই ২৩’র বিধানসভায় হারের মুখ দেখতে হয়েছিল প্রদেশ বি জে পি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য কে! যদিও এই সমস্ত কিছুর গন্ধ পেয়ে এই দীপক কর কে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার একই কায়দায় নিজের ব্যবসা বাড়িয়ে যাচ্ছে বড়দোয়ালি মন্ডলের সভাপতি সঞ্জয় সাহা। গোটা বিধানসভায় কান পাতলে শোনা যায় এই মন্ডল সভাপতি কিচ্ছা কাহিনী। এই মন্ডল সভাপতির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক নাম। দিনের পর দিন স্বচ্ছ মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিক্রি করে এই সভাপতি যা নয় তা-ই করে যাচ্ছে। এখন মন্ডল সভাপতির ঘরের কাজিয়া বেরিয়ে এসেছে রাজপথে। যানা গেছে কালীপূজোর পরের রাতে মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহা এবং মন্ডলের জেনারেল সেক্রেটারি শ্যামল দেব নিজেদের মধ্যে কোন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী সময় এই বিবাদ হাতাহাতির আকার ধারণ করে। কর্পোরেটর স্বপ্না সরকারের স্বামী জয়ন্ত চৌধুরী এবং মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় সাহা মিলে মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেবের নাক ফাটিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে ক্ষণের মধ্যেই ছুটে আসে পুলিশ। তখনই পুলিশ আধিকারিক কে উদ্দেশ্য করে মন্ডল সভাপতি বলেন তিনি নাকি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী! এই কথা শোনার পর পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা এই মন্ডল সভাপতি কে থানায় আটক করে নিয়ে আসার সাহস দেখাবে। পরবর্তী সময় মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেবকে নিয়ে আসা হয় শহরের আইজিএম হাসপাতালে, যদিও IGM থেকে তাকে রেফার করে দেয়া হয়েছে জিবি হাসপাতালে।
প্রশ্ন হল এইভাবে একজন স্বচু মুখ্যমন্ত্রীর নাম বিক্রি করে ভাবে সঞ্জয় শাহার মতো মন্ডলহিসেবে সভাপতিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে? কেন কোন পুলিশি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না? এইভাবে চলতে থাকলে সঞ্জয় সাহারাই হয়ে উঠবেন আগের দীপক কর!