বুলডজার দিয়ে ডালাকে রাষ্ট্রবাদীরা আবাস যোজনায় নির্মিত নেপাল সরকারের ঘরটি ভেঙ্গে দিয়েছিল গত পাঁচ জুলাই। সেই ভাঙ্গা বাড়িটি পরিদর্শনে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী ও অমরপুর মহকুমা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য মোসলেম আহমেদ ওই বাড়ির মেয়ের সাথে কথা বলে। জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান একদল দুষ্কৃতী গণতন্ত্র কে কবর দিয়েছে। পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।বিনা নোটিশে পঞ্চায়েত প্রধান উপ প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরা ঘরটি ভেঙে দেওয়ার পর গোটা এলাকার মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ। প্রতিবেশীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, এরা কেমন রাষ্ট্রবাদী মানুষের ঘর ভেঙ্গে দেয়। আসলে এরা তো গুন্ডা। নেতৃবৃন্দ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার নিন্দা জানান। তারা দাবি করেন নেপাল সরকারের ঘর বানিয়ে দিতে হবে সরকারকে। তাদের আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ডাকবাংলোতে আসেন সরকারের এক মন্ত্রী । তিনি ঐ পরিবারের লোকদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, মহকুমা প্রশাসকের বাইরে তারা কাউকে যাতে কোন কিছু না জানায়। এমনকি সাংবাদিকদেরও না। কোন কিছুর অসুবিধা হলে সরাসরি মহকুমা শাসকের সাথে কথা বলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এভাবেই একটি অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে চাইছে বিজেপি জোট সরকার। শুধু তাই নয় মন্ত্রী সাংবাদিকদেরও হুমকি দেন খবর না করার জন্য।উল্লেখ থাকে যে, দীর্ঘবছর যাবত ডালাক বাজারের পাশেই পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন নেপাল সরকার। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ করা হয় নেপাল সরকারকে। যথারীতি যে বাড়িতে দীর্ঘবছর বসবাস করছে সেই বাড়িতেই ঘর তৈরি শুরু করেন। ঘর যখন প্রায় শেষ পর্যায়ে তখনই নজর পড়ে রাষ্ট্রবাদি নেতাদের। নতুন রাস্তা তৈরি করার অজুহাতে শুক্রবার সকালে নাগাদ রাষ্ট্রবাদি রামাবলি গায়ে জড়ানো বিজেপি গোমতি জেলা কমিটির নেতা কাজল পালের ইন্ধনে ডালাক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, মেম্বারদের উপস্থিতিতে বুলডজার লাগিয়ে নেপাল সরকারের একমাত্র থাকার ঘরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। বাধা দিতে আসলে নেপাল সরকারের স্ত্রীকে মারধর করে প্রধান উপপ্রধান । অভিযোগ করেন নেপাল সরকারের স্ত্রী এবং ছেলে। পরবর্তী সময় ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় বীরগঞ্জ থানার পুলিশ সহ অমরপুর মসকুমা শাসক অফিসের আধিকারিকরা। পরে পরিবারের সদস্যদের তুলে আনা হয়েছে অমরপুর ডাকবাংলোতে।
