মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হলেন এক গৃহবধূ ঘটনাটি ঘটে কৈলাশহর হীরাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঢেঁপাছড়া ৫ নং ওয়ার্ড এলাকায়। পরক্রিয়া সম্পর্ক মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট বৈধতা দিলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই আইনটি কার্যত কলাপাতা হল। জানা যায় ওই গ্রামের এক মহিলা ওই একই এলাকার বাসিন্দা আফতার আলী নামে এক ব্যক্তির সাথে প্রনয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। কারণ ওই মহিলার স্বামী বিদেশে থাকেন প্রনয়ের সম্পর্কের কারণে দুজনের শারীরিকভাবে মেলামেশা করার কারণে এলাকাবাসী ওই মহিলা এবং ওই ব্যক্তিকে আটক করে পাশাপাশি ওই মহিলা এবং আখতার আলীর মাথা ন্যাড়া করে এলাকাবাসী এমনকি এলাকাবাসী একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে ওরা দুইজনকে এবং মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। যা একেবারেই আইনত নয় বর্তমান সমাজে এই ধরনের ঘটনা চোখে পড়ে না এই রাজ্যে। বহির রাজ্যে বা বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা মানুষ দেখতে পেরে তারা এই ধরনের কাজে কুৎসা ও যোগাচ্ছে। ওই মহিলা শারীরিকভাবে আফতার আলীর সাথে মিলিত হলে তাকে অন্যভাবে শাসানো যেত কিন্তু তাদের মাথা ন্যাড়া করে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করার অধিকার কারো নেই এটি আইনিভাবে অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আজ এই বিষয় নিয়ে ওই মহিলা এলাকাবাসী এবং তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে একটি লিখিত আকারে অভিযোগ ইরানি থানায় দিলে ইরানি থানার পুলিশ সাথে সাথেই তার শ্বশুরবাড়ির তিনজনকে গ্রেফতার করে ইরানি থানায় নিয়ে আসে এই ধরনের অপরাধী কঠোর শাস্তি হোক এটা চায় শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।