এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের শাসকদলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে বিতর্কিত এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা ২৯ কৃষ্ণপুরের বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা। দিনের পর দিন বিকাশ দেববর্মার বিভিন্ন কাজকর্ম একদিকে যেমন মন্ত্রী হিসেবে বিকাশ’কে গোটা রাজ্যের সামনে কলঙ্কিত করে চলেছে, ঠিক এর পাশাপাশি বিজেপি দলের কাছে রীতিমতো গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে কৃষ্ণপুরের বিধায়ক।
শুক্রবার ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাকমাঘাট কমিউনিটি হলে জনজাতি মোর্চার এক দিবসীয় সেমিনার কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাবু। তবে গোটা অনুষ্ঠান জুড়ে মন্ত্রী বিকাশের ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকতে দেখা যায় মাদক মামলার অভিযুক্ত এবং বর্তমানে জামিনে মুক্ত কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার ত্রাস সুপরিচিত মাদক মাফিয়া রঞ্জিত দেববর্মা’কে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিগত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ তদানীন্তন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন ক্রান্তি ত্রিপুরার নেতৃত্বে পুলিশ রঞ্জিত সহ তার ভাই অজিত দেববর্মা’কে মানিক বাজারের তুইথামপুই এলাকা থেকে
বিপুল পরিমাণে নেশা সামগ্রী এবং অবৈধ টাকা সহ গ্রেফতার করেছিল। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২ মাসের বেশি সময় কারাবাসে থাকার পর বর্তমানে জামিনে মুক্ত এই মাদক মাফিয়া। তবে শুক্রবার ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকার বিজেপি জনজাতি মোর্চার এক দলীয় কর্মসূচিতে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা মাদক মাফিয়া রঞ্জিত’কে রীতিমতো বগলদাবা করে রেখেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে যেখানে রাজ্য সরকার চাইছে নেশা মুক্ত রাজ্য সেখানে কৃষ্ণপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিকাশ কেন একজন নেশা কারবারি’কে এইভাবে মাথায় তুলে রেখেছেন?
গোটা কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে মন্ত্রীর সাথে জামিনে মুক্ত মাদক মাফিয়া রঞ্জিত’কে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে যা নিয়ে কর্মসূচি স্থলে উপস্থিত অন্যান্য একাধিক নেতৃত্ব এবং কর্মী সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post নিম্নমানের কাজে যাতায়তের রাস্তা ভগ্ন দশায়, ঘুমে দপ্তর
Next post পুকুরের মধ্যে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য
%d bloggers like this: