হিন্দু শাস্ত্রমতে কুমারী পুজোর প্রচলন রয়েছে বহু কাল আগে থেকেই | মায়ের সপ্নাদেশে তৎকালীন সময়ে ঋষিরা অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে কুমারী পুজো করতেন | বর্তমানে এই পুজোর প্রচলন রয়েছে সর্বত্রই |প্রতিবছরের মত এবছরও আগরতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় মন্দির, সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হচ্ছে বাসন্তী পুজো। হিন্দু শাস্ত্র মতে বাসন্তী পূজায় দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়।। বসন্ত ঋতুতে দেবীর পূজা হয় বলে এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। শরৎকালের শারদীয়া দুর্গাপূজার মতো ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়ার রীতি রয়েছে। তাই দূর্গা পূজার মতোই রাজ্যের শহর থেকে শুরু করে গ্রামে ভাব গম্বীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলছে এখন দেবী বাসন্তীর আরাধনা। তিথি অনুযায়ী বুধবার অনুষ্ঠিত হল মহা অষ্টমী পূজো। রাজধানী আগরতলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গা বাড়ি সহ বিভিন্ন ক্লাব ও বনেদি পরিবারে সকাল থেকেই চলে মহা অষ্টমী তিথি থেকে ঘিরে উৎসবের আমেজ। তবে শরৎকালের দুর্গাপুজোর মত এই বাসন্তী পুজোতেও কুমারী পূজার প্রচলন রয়েছে। বুধবার মহা অষ্টমী পূজা উপলক্ষে আগরতলা টাউন হল সংলগ্ন উমা মহেশ্বরী মন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী মায়ের পুজো। এবছর কুমারী মা হিসেবে পূজিত হলেন দিতিপ্রিয়া ভট্টাচার্য। বাড়ি আগরতলা ভাটি অভয়নগর এলাকায়। দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য ও সুপ্রীতি চক্রবর্তীর সাত বছরের কন্যা দিতিপ্রিয়া আগরতলা শ্রীকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। বিশেষ এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে খুশি দিতিপ্রিয়ার মা-বাবা। এদিন কুমারী পূজা দেখতে ভিড় জমিয়েছে বহু দর্শনার্থী। কুমারী পূজার তাৎপর্য তুলে ধরে উমা মহেশ্বরী মন্দিরের পূজারী জানান সনাতন হিন্দু ধর্মের বসন্তকালীন মহা উৎসব হচ্ছে বাসন্তী দুর্গাপূজা। কোটি বছর আগে সনাতন ভারতবর্ষের পবিত্র ভূমিতে মায়ের আবির্ভাব হয়েছিল। এই বাসন্তী পূজা করেছিলেন ভারতবর্ষের ঋষিরা। তাদের বলেছিলেন পৃথিবীতে কুমারী মায়ের স্বরূপের মাধ্যমে পূজা করতে। সেই থেকে কুমারী পূজার প্রচলন বলে জানালেন মন্দিরের পূজারী। কুমারী পূজাকে কেন্দ্র করে এদিন বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত | ৮ থেকে ৮০ সব বয়সীর মানুষ মায়ের আরাধনায় মেতে উঠেছে |