কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের অধীনস্থ বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সতেরো মিঞার হাওড়ে দীর্ঘ বছর ধরে কয়েকশো একর জমি পতিত পড়ে রয়েছে। সেই পতিত জমির মালিকরা সেই জায়গায় কৃষি কাজ সহ কোনো ধরনের চাষাবাদ করতে পারছেন না দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর ধরে। সেই পতিত জমিতে কিছু একটা করার জন্য এগিয়ে এলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিংকু রায় এবং পাশ্ববর্তী এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুধাংশু দাশ। দুই মন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে সেই পতিত জমিতে গড়ে উঠতে শুরু করছে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক। সতেরো মিঞার হাওড়ে কয়েকশো একর পতিত জমি থাকলেও প্রাথমিকভাবে দুইশো একর জায়গায় ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলা হবে। পরবর্তী সময়ে হয়তোবা এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্কটি আরও বড় করা হতে পারে। জায়গার মালিকরা স্বেচ্ছায় জমি দান করলেও কয়েকজন জায়গার মালিক বিষয় সম্পর্কে বুঝতে না পারায় জায়গা দিতে রাজি ছিলেন না। জায়গার মালিকদের মধ্যে যারা জায়গা স্বেচ্ছায় দান করতে রাজি ছিলেন এবং যারা অরাজি ছিলেন সব মালিকদের সাথে দুই মন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকটি বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের হলঘরে অনুস্টিত হয়েছে। বৈঠকে দুই মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস, দপ্তরের উপ অধিকর্তা সুজিত সরকার, ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক দিলীপ কুমার চাকমা, চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় সিংহ, ঊনকোটি জেলার বরিস্ট আইনজীবী সন্দীপ দেবরায়, বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত বেবী রুদ্র পাল, জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এল দারলং সহ আরও অনেকে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সুধাংশু দাশ সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে সতেরো মিঞার হাওড়ে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একশো কোটি টাকার প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিলো। যা কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করে দিয়ে প্রথম ধাপে তেতাল্লিশ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।

বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের হলঘরে বৈঠক শেষে মন্ত্রী টিংকু রায় সহ মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা সতেরো মিঞার হাওড়ের যে জায়গায় ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলা হবে সেই জায়গাটি পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী টিংকু রায় সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলার জন্য স্থানীয় জমির মালিকদের সাথে মোট তিনবার বৈঠক করা হয়েছে এবং উনারা স্বেচ্ছায় জমি দিচ্ছেন বলেই সেখানে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্ক গড়ে উঠলে জমির মালিক সহ গোটা বীরচন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষেরা অর্থনৈতক ভাবে সমৃদ্ধ হবে বলে জানান টিংকু রায়। এছাড়াও টিংকু রায় জানান যে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী রাজিব সিং আগরতলায় আসবেন। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মৎস্য মন্ত্রী রাজিব সিং-কে দিয়ে এই ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়া পার্কের শিলান্যাস করা হবে বলেও জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post আরও ৩০১ টি পদে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিল সরকার! জেনে নিন এক নজরে
Next post লোন দেওয়ার নামে প্রতারনা! আটক অভিযুক্ত
%d bloggers like this: