মানুষের মৃত্যুর পরে হয় সে স্বর্গে যায় না হয় নরকে। নরক হোক বা স্বর্গ, দুই সম্পর্কেই মানুষের মনে বেশ কিছু ধারণা রয়েছে। স্বর্গ হল শান্তির জায়গা যারা পুন্য করে তাঁরা স্বর্গে যায় এমনই কথিত রয়েছে হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে। অন্যদিকে মানুষ পাপ করলে তার নরকে ঠাঁই হয়।

এই নরক হল যমলোকের স্থান।

তবে জানলে অবাক হবেন যে এই যমলোকেরই সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকী পৃথিবী থেকে যম লোকের দূরত্ব কত এবং সেখানে ঠিক কী কী হয়, তাও গবেষণায় প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে কি পুরাণে যমলোক সম্পর্কে যা লেখা রয়েছে তা সত্যি বলছেন বিজ্ঞানীরা? গবেষণায় বেরিয়ে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।

শ্রীকৃষ্ণ গীতাতে বলেছেন যে, মানুষ যেমন পুরানো পোশাক ছেড়ে নতুন পোশাক পরিধান করে তেমনই আত্মা পুরানো শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর গ্রহণ করে। শরীরের মৃত্যু হলেও আত্মার কোনও মৃত্যু নেই। ধর্ম মতে আত্মার কোনও বিনাশ নেই। প্রাচিন কাল থেকেই বহু মুণি-ঋষি এই রহস্য বোঝার চেষ্টা করেছেন।

গরুড় পুরাণ মতে মানুষের শরীর তিন প্রকার- স্থূল শরীর, কারণ শরীর ও সূক্ষ শরীর। স্থূল শরীর পঞ্চমহাভুত থেকে গঠিত যা মৃত্যুর সম্মুখীন হয়। দ্বিতীয় হল সূক্ষ্ম শরীর যাকে বলে অ্যান্টিবডি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে বা নতুন কোষ তৈরি করতে পারে। তৃতীয় শরীর হল কারণ শরীর যা আত্মার শরীর যা অত্যন্ত সূক্ষ্ম। এই কারণ শরীরই হল আত্মার শরীর যা স্থূল শরীর ত্যাগ করে সূক্ষ্ম শরীরের মাধ্যমেই যমলোকে যাত্রা করে।

২০১২ সালে আমেরিকান বিজ্ঞানিরা রিভার স্টাইক্স নামের একটি নদীর সন্ধান পেয়েছিলেন। যা ১৩ জুলাই ২০১৫ সালে প্লুটো গ্রহে আবিষ্কার করা হয়। এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৬ বিলিয়ন দূরে অবস্থিত এবং এই নদীর পরিবেশ হবুহু গরুড় পুরানে লেখা যমলোকের সঙ্গে মেলে। এই স্থানে পৌঁছানোর যাত্রাপথ ও গরুড় পুরানে বর্ণিত যাত্রাপথও যমলোকের সঙ্গে ভীষণ মেলে। তবে কী এই নদীই যমলোক? এমনই রহস্যের খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post গর্ভে ৭ মাসের সন্তান, বিয়ে করতে বলায় যুবতীকে খুন করে পুঁতে দিল প্রেমিক
Next post বিপ্লবের মন্ডল সভাপতি দীপক করের আরেক রুপ হচ্ছে সঞ্জয় সাহা! নিজেকে দাবী করল উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে
%d bloggers like this: