নেহেরু যুব কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াইয়ের নতুন টাউনহলে খোয়াই জেলা ভিত্তিক যুব উৎসবের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার খোয়াই নতুন টাউনহলে আয়োজিত যুব উৎসবের প্রদীপ জ্বালিয়ে সূচনা করেন পূর্বত্রিপুরা আসনের সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা। তাছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, খোয়াই জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষচন্দ্র সাহা, মহকুমা শাসক বিজয় সিনহা, রাজ্যের নেহেরু যুবক কেন্দ্রের অধিকর্তা জবা চক্রবর্তী, খোয়াই জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা সহ যুব ক্রীড়া দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। এদিনের এই অনুষ্ঠানের সভাপতিতব করেন খোয়াই জেলার সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা।১দিন ব্যাপি এই যুব উৎসবে বিভিন্ন বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রী দের নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা সহ একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ রেবতি ত্রিপুরা বলেন, দেশ এবং সমাজ এগোতে গেলে দেশের যুব সমাজকে আগে এগোতে হবে।তার জন্য যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে,দেশকে পুরোপুরি আত্মনির্ভর করে তুলতে যুব প্রজন্মকে এর দায়িত্বভার এখন থেকে নিতে হবে।এর জন্য তিনি শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিজ্ঞান চর্চা, স্বাস্থ্য, সাহিত্য, অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হয়ে আত্মনির্ভরতা গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। তাই তিনি প্রত্যেক যুবক-যুবতীকে যে ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল, সে ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।তিনি আরও বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে যুবাদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে এবং যে সব যুবা বিপথগামী হয়ে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে গেছে তাদেরকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে আত্মনির্ভর করতে হবে। তাই তিনি যুবাদের প্রচেষ্টা জারি রাখতে পরামর্শ দেন। জেলাভিত্তিক যুব অনুষ্ঠানে আসা হয় মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুবক-যুবতীদের নিয়ে নানান প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হয়। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, নাচ গান, মোবাইল ফটোগ্রাফি, কবিতা আবৃতি সহ নানান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রথম ও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। এদিন খোয়াই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে টাউনহলের বাইরে এক প্রশাসনিক মেলা সূচনা করেন ফিতা কেটে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৫ টি স্টল বসে। তাছাড়া খোয়াই জেলা টি আর এল এম এর উদ্যোগে ভ্রাম্যমান কমন সার্ভিস সেন্টার তিনটি ভ্যান গাড়ি তুলে দেওয়া হয়।
জেলাভিত্তিক যুব উৎসব হলেও জেলা থেকে যুবকদের উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। হলে অধিকাংশ আসনই ছিল ফাঁকা।যাহাই ছিল তার মধ্যে খোয়াই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিতি ছিল বেশি। সূত্রের খবর, দপ্তরের কাছে আগাম খবর ছিল ২০২৩ জেলাভিত্তিক যুব উৎসবে যুবকদের উপস্থিতি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানেও একই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যুবকদের অনুষ্ঠানে যুবদের উপস্থিতি একেবারে কম। যুবকদের উপস্থিতি কম থাকার কারণে অনুষ্ঠানে অতিথিবর্গদের চোখে মুখে ক্ষোভের আঁচ লক্ষ করা যায়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ফের হত্যার হুমকি মাতব্বরের।
Next post এক নিরীহ সাধারণ পূর্ণার্থীকে পেটালো টিএসআর কর্মী।
%d bloggers like this: