রেল দুর্ঘটনার পর প্রায় দেড়দিন কেটে গেলেও এখনও বালেশ্বরের বাহানগায় পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত তিনটি ট্রেন। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের ২১টি কামরা। সেই কামরায় আবার এসে ধাক্কা মারে ডাউন হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ৯০০। আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। শনিবার রাতে রেলের তরফে জানানো হয়, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। এবার শুরু করা হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের কামরাগুলি সরানো ও রেললাইন মেরামতির কাজ। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী শনিবার রাতেই জানিয়েছিলেন, বুধবার সকালের মধ্যে ওই রুটে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার ব্য়বস্থা করা হচ্ছে। রবিবার সকালেও দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।শুক্রবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই শোক প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব। শনিবার ভোরেই তিনি বালেশ্বরের বাহানগায় দুর্ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। এরপর দিনভর উদ্ধার কাজের তদারকি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, সকলকেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরিয়ে দেখান তিনি। আহতদের যাতে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়, তাও নিশ্চিত করার জন্য় যাবতীয় পদক্ষেপ করেন তিনি।