এবার ‘হেট স্পিচ’ বা ঘৃণামূলক বক্তৃতার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল দেশের সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এই বিষয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেই মুহূর্তে রাজনীতি এবং ধর্ম আলাদা হয়ে যাবে এবং রাজনীতিবিদরা রাজনীতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন, ঘৃণাবাচক বা হেট স্পিচও বন্ধ হবে। দেশের মানুষের উচিত ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দেওয়া থেকে নিজেদের সংযত করা। হেট স্পিচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্য সরকার গুলির ব্যর্থতা বিষয়ে এক আবেদনের শুনানির সময় এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়। বিচারপতি কেএম জোসেফ বলেন, “রাজনীতিবিদরা এই ধরনের গেম খেলেন বলেই এসব ঘটছে। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করবেন না। রাজনীতি ও ধর্মকে আলাদা করা হলেই তা (হেট স্পিচ) বন্ধ হয়ে যাবে।” অপর বিচারপতি বিভি নাগারত্নও একের পর এক ঘৃণাবাচনের দৃষ্টান্তে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সভা করা অধিকারের থেকে, সভায় কী বলা বা করা হচ্ছে তা আলাদা। এই দেশের নাগরিকরা কেন অন্যকে গালি না দেওয়ার শপথ নিতে পারেন না? অন্যকে গালি দিয়ে কি লাভ?” শাহিন আবদুল্লা নামে কেরলের এক ব্যক্তি, মহারাষ্ট্রের এক বর্তমান বিধায়কের সঙ্গে সঙ্গে মিছিল এবং জনসভায় একাধিক ব্যক্তির ঘৃণা বক্তৃতার কথা আদালতের সামনে তুলে ধরেন। আবেদনে তিনি জানান, জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু, আবেদনকারীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তুষার মেহতা অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তি নির্বাচিত ভাবে দেশে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেই ঘৃণাত্মক বক্তৃতার ঘটনাগুলিকে নির্দেশ করেছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous post দেশে ফের হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত কয়েক দিন ধরেই দেশে লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার।
Next post আবারো রাস্তা অবরোধ এর ঘটনা l বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ এর ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর চন্দ্রপুর এলাকায় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে
%d bloggers like this: