বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাইয়াবাড়ি এলাকায় আজ থেকে দীর্ঘ বছর আগে ৪৬ টি সংখ্যালঘু পরিবারকে থাকার জন্য রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় তৎকালীন সময় পাট্টা দিয়ে তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় । কিন্তু বর্তমানে সংখ্যালঘু পরিবারগুলিকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে একটা অংশ । সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ যাতে না করা হয় এই দাবি নিয়ে সোমবার দুপুরে উদয়পুর বনদপ্তরের মহকুমা অধিকারীক কমল ভৌমিকের নিকট ডেপুটেশানে মিলিত হয় সিপিআই এম এল এর দলের পক্ষ থেকে পার্থ কর্মকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল । গোটা বিষয়ের সংবাদ করার জন্য সাংবাদিক সানি আলম সরকার যখন বনদপ্তর অফিসে যান সে সময় সাংবাদিককে সংবাদ করার জন্য এক প্রকার বাধা দেয় বলে জানা যায়। প্রতিদিন উদয়পুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে বনদস্যুরা গাছ কেটে পাচার করে দিচ্ছে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য এবং বহু চুরাই কাঠের সমিলে । কিন্তু সেই সব বিষয়ে উদয়পুরের বন আধিকারিক কমল ভৌমিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাকে দেখা যায় না । শুধু তাই নয় বনের ভেতরে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে জীবজন্ত কতটুকু রয়েছে খবর পর্যন্ত তার কাছে নেই। শুধুমাত্র একটি দায়িত্ব পালন করতে তিনি ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন । সকাল থেকে বিকেল সময়মতো অফিসটা কখনো করতে দেখা যায়। কখনো নিজের বাসভবনে আরাম-আয়েশে দিন হেলায় কাটিয়ে কোনক্রমে চালিয়ে যাচ্ছেন মাসের পর মাস। বনসম্পদ কতটুকু রক্ষা করা তার দায়িত্ব তা একেবারেই ভাবনা-চিন্তা তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে না কয়েক বছর ধরে । মাসের শেষে সরকারি বেতন গুনে কমল দিব্যি আরাম-আয়েশে দিনযাপন করছে উদয়পুর বনদপ্তরে । সূত্রের খবর , মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় রোশানলে পরে কিছুদিন আগে ধমক খেতে হয়েছিল তাকে । যেভাবে বনজ সম্পদ ধ্বংস করে দিচ্ছে বনদস্যুরা রাতের অন্ধকারে । সেই খবর পর্যন্ত তার কাছে নেই । এই নিয়ে বিধায়কের ধমক খেতে হয়েছিল কমলকে । এদিকে বনজ সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ হওয়ার কারণে কমল ভৌমিক বর্তমানে সাংবাদিকদের দেখলেই সহ্য করতে পারছে না । এর ফলে সরকারি অফিসে সংবাদের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি সব সময় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করে । সব মিলিয়ে বন দসু্্যদের ঘুরিয়ে নরম মনোভাবের বার্তা দিয়ে রেখেছে কমল । তারফলেপ্রতিদিন ধংস হচ্ছে উদয়পুরের বনজ সম্পদ ।